Rajuk Uttara Model College Student Tripty Rahman Viral Video With her Teacher Mahir Asef Pulok
রাজউক কলেজ ছাত্রী-শিক্ষকের ‘ব্যক্তিগত আলাপ’ ভাইরাল
রাজধানীর রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের এক শিক্ষকের সঙ্গে একই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ছাত্রীর ‘ব্যক্তিগত আলাপের’ একাধিক মেসেঞ্জার চ্যাটের স্ক্রিনশট ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। আজ শনিবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরের দিকে ‘তৃপ্তি রহমান’ (Tripty Rahman) নামে ফেসবুকের একটি আইডি থেকে এসব চ্যাটের স্ক্রিনশট আপলোড করার পর তা বিভিন্ন গ্রুপ ও পেজে ছড়িয়ে পড়ছে।
জানা গেছে, ওই শিক্ষকের নাম মাহির আসেফ পুলক। তিনি রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।
ভাইরাল হওয়া এসব চ্যাটের একাধিক স্ক্রিনশট Fstd Solution এর হাতে এসেছে। সেখানে দেখা গেছে, গত ১৩ মার্চ মেসেঞ্জারে তাদের প্রথম আলাপ শুরু হয়। এসময় ওই ছাত্রী শিক্ষক পুলককে তাদের একটি ব্যাচ (কোচিং) শুরু করতে বলেন। এরপর থেকে তাদের মধ্যে নানা রকম আলাপচারিতা হয় এবং পরবর্তীতে তা প্রেমের সর্ম্পকে রূপ নেয়।
এদিকে, ‘তৃপ্তি রহমান’ (Tripty Rahman) নামে যে ফেসবুক আইডি থেকে এসব চ্যাটের স্ক্রিনশট আপলোড করা হয়েছে, সেখানে দাবি করা হয়, িক্ষ পুলক এবং ওই ছাত্রীর মধ্যে প্রেমের সর্ম্পক থাকার পরও তাা ়ে দ্বিতীয় সম্পর্কে জড়ায়। তাছাড়া এসব ছড়িয়ে পড়ার পর সংশ্লিষ্ট সবার সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম এবং মুঠোফোন বন্ধ রয়েছে।
তবে অনেকেই ধারণা করছেন, ওই ছাত্রীর আইডি থেকে চ্যাটের স্ক্রিনশটগুলো নেওয়া হয়েছে। তাই এ ঘটনায় ওই ছাত্রী কিংবা ছাত্রী পরিচিত কেউ জড়িত থাকতে পারেন। অথবা বহুমুখী প্রেমের সম্পর্ক থাকায় তাদের মধ্য থেকেই কেউই তা ছড়াতে পারেন।
এ বিষয়ে আজ সন্ধ্যায় রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ এস এম বাহাউদ্দিন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ঘটনাটি সর্ম্পকে আমরা এখনো বিস্তারিত জানি না। আমরা এ বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ-খবর নিয়ে সে অনুযায়ী আমাদের ওই শিক্ষক যদি অভিযুক্ত হন-তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রাজধানীর রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের এক শিক্ষকের সঙ্গে ছাত্রীর ‘ব্যক্তিগত আলাপের’ স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন ভুক্তভোগী মাহির আসেফ পুলক (২৬)। তিনি রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক।
রোববার (১৬ এপ্রিল) রাজধানীর উত্তরখান থানায় তিনি এই জিডি করেন।
জিডিতে পুলক অভিযোগ করেছেন, শনিবার সকালে তৃপ্তি রহমান (Tripty Rahman) নামক ফেসবুক আইডি থেকে আমার ছবি এবং কিছু কথোপকথোন, অডিও রেকডিং ফেসবুকে শেয়ার করা হয়। পরবর্তীতে তাকে এ ঘটনার কারণ জানতে াইে তিনি তাৎক্ষণিক তার আইডি থেকে ছবি এবং অডিও রেকডিং রিমুভ করে দেয়। ততক্ষণে এসব ছবিগুলো এবং অডিও রেকডিং ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে (ভাইরাল) যায়।
পরে অজ্ঞাতনামা বিবাদী র ্যবৃ মোবাইল ফোন থেকে আমাকে ফেসবুকে ভাইরাল করবে বলে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে। এদিকে, ঘটনার পরদিন রোববার সকালে আমার নিজ নামে Mahir Asef Pulok ফেসবুকে প্রবেশ করে দেখতে পাই যে অজ্ঞাতনামা বিবাদী Tamzid Mahfuz Mubin নামক ফেসবুক পেজ খুলে আমার ছবি এবং ম্যাসেজের স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে আমার মান সম্মান ক্ষুন্ন করেন।
পরবর্তীতে একাধিক নম্বর থেকে আমাকে ফোন করে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। অজ্ঞাত নামা বিবাদীরা আমার নিজ নামে আমার ছবি এবং মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করে Mahir Asef Pulok পেজ খুলে আমাকে এবং আমার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করছে। আমি বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেও এই অপপ্রচারকারীদের পরিচয় শনাক্ত করতে ব্যর্থ হলে আপাতত বিষয়টি জিডি করে রাখা প্রয়োজন বলে মনে করি। প্রয়োজন সাপেক্ষে পুনরায় মামলা করার জন্য আবেদন করা হবে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মাহির আসেফ পুলকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার ব্যক্তিগত নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।
উত্তরখান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী আবুল কালাম বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে বলেন, থানার এসআই (নিরস্ত্র) মো. মনিরুজ্জামানকে জিডির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ইনগত ্যবস্থা গ্রহণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অতি সম্প্রতি রাজউক স্কুল এন্ড কলেজের এক শিক্ষকের সাথে স্কুলের এক ছাত্রীর অন্তরঙ্গ মুহূর্তের কিছু অশালীন কথোপকথনের স্ক্রিনশট ও ভিডিও ভাইরাল হয়। যা নিয়ে সরগরম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। বিষয়টি আমার জানা ছিল না। তাছাড়া আমি এসব অগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দৃষ্টি দিই না, সাাষণ বিভো থাকি জ্ঞান অন্বেষণে। কিছুক্ষণ আগে এক শুভাকাঙ্ক্ষী ইনবক্সে সেসবের ছবি পাঠিয়ে এ নিয়ে লিখতে বললেন।
আমি বিস্তারিত সেসব দেখতে গিয়ে অশ্লীল ও অশালীনতার তীব্রতায় পুরোপুরি দেখতে পারিনি। তবে বুঝেছি কাহিনি কী! কিন্তু এটার এতই নেতিবাচক প্রভাব ছড়িয়ে পড়ছে যে কিছু না লিখে পারা যাচ্ছে না।
শিক্ষক ও ছাত্রীর প্রেম এবং তা থেকে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া, ইনবক্সে ব্যক্তিগত কথোপকথন, অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও ভাইরাল—শেষমেশ সেসব নেটদুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার ফলাফল বিশ্লেষণ করা যেতে পারে। জানা যায়, তৃতীয় কোন পক্ষ মেয়েটির আইডি হ্যাক করে বা যেকোনভাবে তাদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের সেসব স্ক্রিনশট ভাইরাল করে। মুহূর্তে সেটা হুঁ হুঁ করে ছড়িয়ে পড়ে নেটদুনিয়ায়।
এখানে প্রেম থেকে শুরু করে শারীরিক সম্পর্ক, অন্তরঙ্গ মুহূর্তের কথোপকথন—এসবে শিক্ষকের দোষ নাকি ছাত্রীর দোষ সেদিকে আমি যাবো না। কারণ, উভয়ের সম্মতিতেই সেসব হয়েছে। এককভাবে খানে কউকে দোষারোপ করার সুযোগ নেই। কিন্তু নৈতিকতার জায়গায় প্রশ্ন তুললে—এখানে ওই শিক্ষকের ওপর প্রশ্ন তোলা যায়, কেননা মেয়েটি বয়সে অপেক্ষাকৃত তার চেয়ে ছোট এবং অন্যদিকে তার ছাত্রী। কিন্তু জৈবিক চাহিদার জায়গায় সে শিক্ষক নিজেকে দমাতে পারেননি। শিক্ষক হিসেবে সেদিক থেকে সে কুলাঙ্গার ও কলঙ্কের ভাগীদার। এমন ঘটনা এদেশের শিক্ষাঙ্গনগুলোতে হরহামেশাই দেখা যায়।
এখন প্রশ্ন হলো, সেসব নেটদুনিয়ায় শেয়ার দিয়ে ছড়িয়ে দে়ার ধ্যে কী লাভ য়েছে। আদতে লাভ বলতে কিছুই নেই। যারা শেয়ার দিয়ে ছড়িয়ে দিচ্ছেন তারা শ্রেফ মজা বা আনন্দ নেওয়ার জন্যই সেটা করছেন। এবং সেটা করছেন ইয়াং জেনারেশনরাই। কিন্তু
এটা একধরনের ক্রাইম। কেননা এটির মধ্য দিয়ে দুইজনের মানসিকভাবে এবং সামাজিকভাবে বুলিংয়ের শিকার হচ্ছেন। বর্তমানে ঘটনার প্রেক্ষাপটে দুইজনের মানসিক অবস্থা কোন পর্যায়ে সেটা সহজেই অনুমেয়। তাছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার ফলে দুইজনের পরিবারই সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছে। জানা গেল, এ ঘটনা ভাইরাল হওয়ার পর থেকে মেয়েটির খোঁজ মিলছে না। হয়তো সে আত্মহত্যা করবে না হয় ফিরে আসবে। কিন্তু যা(র)দের কারণে বা যে ঘটনার প্রেক্ষিতে সে আত্মহত্যা করবে—সেটার দায় কে নেবে? আর ফিরে এলেও সমাজের চোখে সে কী করে তাকাবে!
যারা সেসব ব্যক্তিগত বিষয়ের স্ক্যান্ডাল স্ক্রিনশট শেয়ার দিয়ে বিভিন্নভাবে ছড়িয়ে দিচ্ছে তারা কী নিজের জায়গায় দাঁড়িয়ে মুহূর্তের জন্য সেটা চিন্তা করছে—যদি আমার বেলায় তা ঘটতো!
আমাদের চারিদিকে অসভ্যতা ভয়ানকভাবে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠছে। একটা অসভ্য, নীতিনৈতিকতা বিবর্জিত ও মেরুদন্ডহীন প্রজন্ম গড়ে ওঠছে। মানুষের ব্যক্তিগত নেতিবাচক বিষয় নিয়ে এরা মাতামাতি করে, ভাইরাল করে এক ধরনের অদ্ভুত আনন্দ পায়। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, সেখান থেকে তারা কেউ শিক্ষা নেয় না।
মানুষের ব্যক্তিগত নেতিবাচক বিষয়ের ওপর এদের সার্বক্ষণিক নজর—কখন ভাইরাল করবে। কিন্তু একটা ভালো বিষয়, ইতিবাচক বিষয় নিয়ে তারা মাতামাতি করে না, ভাইরাল করে না। অথচ সমাজে, াষ্টরে, চারপাে ভাইরাল করর হাারো তিবাচক বিষয় রয়েছে—যেগুলো ভাইরাল হলে ব্যক্তি, সমাজ, রাষ্ট্র সবাই উপকৃত হতে পারে। কিন্তু তা হতে দেখা যায় না। আমাদের প্রজন্মের মাঝে কি আদৌ বোধশক্তি জাগ্রত হবে?
—ইমরান ইমন
One thought on “Tripty Rahman Viral Video”