Sadia Jahan Prova Viral Video

Sadia Jahan Prova Sex Video With Rajib


রাজিবের সঙ্গে সেই ভিডিও নিয়ে এতদিন পর মুখ খুললেন প্রভা

Sadia Jahan Prova

১০ সালের ১ এপ্রিল দীর্ঘদিনের প্রেমিক রাজিব হাসানের সঙ্গে বাগদান হয়েছিল ছোট পর্দার অভিনেত্রী সাদিয়া জাহান প্রভার। ওই বছরেরই ১৯ আগস্ট শুটিং সেট থেকে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্বকে।

তাদের বিয়ের পর রাজিবের সঙ্গে প্রভার ব্যক্তিগত মুহূর্তের কিছু ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে অনলাইনে।রাজিবের সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে পরের বছর ফেব্রুয়ারিতে অপূর্বের সঙ্গে বিয়েবিচ্ছেদ হয় প্রভার।

এরপর দীর্ঘদিন পর্দার আড়ালে চলে যান তিনি। রাজিবের সঙ্গে আসলে কী ঘটেছিল তা নিয়ে এতদিন কোনো কথা না বললেও এবার মুখ খুললেন Sadia Jahan Prova। নিজের ফেরিভায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ওই বিষয়গুলো কিছু তথ্য জানালেন তিনি।

Sadia Jahan Prova

প্রভা লিখেছেন, ‘আমি কোনো প্রতারণা করি নাই! আমি চুপ করে থাকি বলে এই না যে, আপনারা আমাকে নিয়ে যা খুশি তাই বানিয়ে বলবেন। আমার শুধু মনে হচ্ছিল আপনাদের কাছে প্রমাণ করে কি লাভ; উপরে যিনি আছেন, যার কাছে যাব, যিনি বিচারকারী তিনি জানলেই তো হয়।

‘বিয়ের আগেই সম্পর্ক করে যে গুনাহ আমি করেছি সেই গুনাহর জন্য জনতার কাছে আমি প্রতিনিয়ত মাফ চাচ্ছি মাফ চাইব! কিন্তু যতদিন বেঁচে থাকব আপনাদের কাছ থেকে অনক সোয়াব কামাবো! কারণ আপনাা না জেনে আমকে গালি দেন। না বুঝে আমাকে একর ্রতারক বানিয়ে দিয়ছেন’

তিনি লেখেন, ‘শোনেন….. প্রথমত আমি রাজিবকে সব জানিয়ে বিয়ের কথা শুরু হয়। কারণ বিয়ের নয় দশ মাস আমার সাথে রাজিবের ব্রেকআপ থাকে, আমাদের সেই আট বছরের সম্পর্কের অলমোস্ট ৫-৬ বছরই ব্রেকআপ থাকতো। রাজিব আমাকে কখনই সম্পর্ক থেকে বের হতে দিত না। এটা ওর সাইকোলজিকাল সমস্যা ছিল। ব্রোকেন ফ্যামিলির ছেলে ও! কারণ ওর বাবা ওর মাকে ছেড়ে খুব ছোটবেলায় অন্য এক মহিলাকে বিয়ে করেছিল। তাই হয়ত ওর মনের মধ্যে ওই জেদ ছিল যে, ওকে ছেড়ে কেউ যেতে পারবে না! আর তাই এই আমাকে বিভিন্নভাবে কনভেন্স করে পার্সোনাল কিছু মুহূর্তের চিত্র ধারণ করে রাখে। যাই হোক সেটা যদি আপনারা সাইবার ক্রাইমের বিভিন্ন গল্প পড়ে থাকেন যে, কেমন করে ছেলেরা মেয়েদেরকে কনভেন্স করে, তাহলে আরও ক্লিয়ারলি জানতে পারবেন।’

Sadia Jahan Prova

‘আমি রাজিবকে অনেকবার ছেড়ে যেতে চেয়েছি। আমাদের ব্রেকআপ হয়েছে, ব্রেকআপের পরে আমার অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক হয়েছে, সেই বিয়ে আমি করিনি। রাজিব পড়াশোনা করত না। আমি তাকে চিনি যখন আমি ক্লাস নাইনে পড়ি। কিন্তু আমি যখন অনার্স থার্ড সেমিস্টার, তখন পর্যন্ত সে অনার্স ফার্স্ট সেমিস্টার। কেন জানেন, কারণ সে বিভিন্ন ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হতো! কিন্তু বারবার রেজাল্ট খারাপ করতো, ইউনিভার্সিটি তাকে বের করে দিত আবার অন্য ইউনিভার্সিটিতে টাকা দিয়ে ভর্তি হতো।

‘ও আরেকটা কথা রাজিব কিন্তু কোো ইনকাম করত না। রাজিবের বাবার টাকা ছিল। কিন্তু রাজিবের সঙ্গে আমার আরেকটা সমস্যা ছিল সেটা হলো যে, রাজিব কোনো কিছু নকাম করতে চাইত না! ওর থা, া বাবার এত আে আমা কেন ইনকাম করতে হবে। এই জিনিস নিয়ে আমাদের প্রচণ্ড দ্বন্দ্ব হতো। সবচেয়ে বেশি হতো পড়াশোনা নিয়ে। এই সমস্ত জিনিস নিয়ে আমাদের প্রচুর ব্রেকআপ হয়েছে!’

তিনি লিখেছেন, ‘যাইহোক ওই ছেলের সঙ্গে আমার বিয়ের কথা হয়েছিল, আংটি বদল হয়েছিল কিন্তু সে আংটি বদলের আট মাস আগে আমার কোনো যোগাযোগ ছিল না। ওই যে বললাম, আমাদের আট বছরের সম্পর্কের ব্রেকআপই থাকত অনেক। তো বিয়ের কথা শুরু হওয়ার সময় আমি রাজিবকে জানিয়ে দেই বিগত এতগুলো মাস আমার কার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল, আমি সেই ছেলে, তার সঙ্গে আমার ভালোলাগা আছে; কিন্তু এটা হবার না, হবে না বুঝেই গেছি- এরকম কথাগুলো আমি তার সাথে ক্লিয়ার করে নিয়েছিলাম। আমার তখন বয়স ছিল ২২, মাথায় বুদ্ধি ছিল না। থাকলে তো সবার আগে রাজিবের সঙ্গে প্রেম করতাম না।’

প্রভা লিখেছেন, ‘বুদ্ধি যদিও আমার এখনো হয় নাই। যাইহোক আমার কাছে মনে হয়েছে, বিয়ে করার আগে তাকে সব কিছু জানিয়ে দেই, যে কার সাথে মাঝখানে সম্পর্কে হতে গিয়েও হয় নাই! (যার কথা বলছি ওনার সাথে আমার পরবর্তীতে বিয়ে হয়েছিল পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছিলাম তাকে) এতে হিতে বিপরীত হয়েছে।

Sadia Jahan Prova

‘আমাদের এঙ্গেজমেন্টের পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই রাজিবের সাথে আমার কথা বলা বন্ধ থাকত। ঝগড়া হতো বিভিন্ন কারণে। প্রচণ্ড মিথ্যা কথা বলতো। সব কিছু মিলায়া আমার মন যখন কোনোভবে মান ছিল না ওকে বিয়ে করতে, আমি বারবার ওকে অনুরোধ করছিলাম যে, চলো বিয়েটা না করি। আমাদের এই বিয়ে ছয় মাসও টিকবে না! একথা আমি আমার বাসায়ও বলেছিলাম। কিন্তু আমার তো অনেক বয়স হয়ে গিয়েছিল। ২২/২৩ বছরের একটা মেয়ে বিয়ে তো করতেই হবে বলেন! যাইহোক এ সমস্ত কথা আর নাই বলি!’

তিনি লিখেছেন, ‘পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করার ঘটনাটা খুব া ানা আনাের। েদিন এই ঘটনাটা ঘটে তার বেশ কিছুদিন ধরে আমার আর রাজিবের খুব ঝগড়া, খুব বিশাল ঝগড়া হতো। রাজিব বুঝে গেছিল যে আমার মনটা নাই। বুঝে কেন যাবে, আমি তাকে ভেঙে নিজেই বলছি যে, শুধু আংটি পরানো হয়েছে, কিন্তু আর কিছু হয় নাই। চলো এটা এখানেই শেষ করি। কিন্তু সে তো নাছোড়বান্দা, তার ওপর সাইকোলজিক্যাল সমস্যা ছিল তার। মাথায় ছিল তার বাবা তার মাকে ছেড়ে চলে গেছিলো, তাকে ছেড়ে কেউ যেতে পারবে না, তার কাছে তো প্রমাণ আছে!

‘প্রমাণ এর কথায় মনে পড়ল, একবার খুব কায়দা করে তাকে জানতে চাইছিলাম যে, কই আছে ওগুলা, চলো তুমি আর আমি মিলে একটু দেখি। তখন সে আমাকে বলছিল, তুমি কি পাগল; তুমি আমার বউ হবা এইজন্য আমি সব কিছু ডিলিট করে দিছি। আসলে তো ডিলিট করে নাই। এখন বুঝতে চান, মানসিকভাবে মানুষটা কি পরিমাণ ক্রিমিনাল মাইন্ডেড!? আসলে ওকে সম্পূর্ণভাবে দোষ দেয়া যায় না! এমন একটা পরিবেশে, যে পরিবেশে বাবা ছিল না, কষ্টে সারাটা জীবন বয়ে বেড়াচ্ছে, ঠিকমত সোশ্যালি মানুষের সাথে মিশতে পারে নাই এরকম একটা মানুষ আস্তে আস্তে ক্রিমিনালই পরিণত হবেন।’

Sadia Jahan Prova

প্রভা লিখেছেন, ‘তারপর সে আমার বাসায় এ ব্যাপারে বিচার বসায়। আমার বাবা-মা আমাকে বকাঝকা করে সত্যি কথা বলি। আমি বাবা-মাকে কষ্ট দিয়েছি, আমি আমার বাবা মাকে না বলে বাসা থেকে পালিয়ে গিয়ে আরেকজনের হাত ধরছিলাম… কিন্তু যার হাত ধরতে বলছিল ওই সময়ে সেই মানুষটাও তো ভুলই ছিল। যদিও সেই মানুষটার আমাকে পছন্দ ছিল, আসলে আমি নিরুপায় পছন্দ করেছিলাম। বাসায় এত বিয়ের চাপ দেয়া হয়েছিল যে, আমি নিরুপায় হয়ে ওকে বলেছিলাম ঠিক আছে তুমি আমাকে বিয়ে করো, কিন্তু আমি তো সব জানয়ে িয়েটা করতে গিয়েছিলাম। আমি কা ভালোেসে ছিলাম, আমাদের ব্রেকআপের পরে সম্পর্ক তো হতেই পারে!

তো মনের মধ্যে বিষ রেখে দিয়েছিল কেন যে ওকে ভালো লাগে না, এই ব্যাপারটা করত না সম্মতি দিতে হবে না, তুমি অন্য জায়গায় সম্পর্কে জড়িয়েছিলে, আমি তোমাকে বিয়ে করতে পারব না, তুমি তো মনের মধ্যে জেদ, সে যে আমারই হবে! কারণ আমার মাকে রেখে আমার বাবা অন্য মহিলাকে বিয়ে করেছিল। যাই হোক!

‘সেদিন বাসায় এমন এক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল, আমার কাছে মনে হয়েছিল যে, এখান থেকে মুক্তি পাওয়ার এই একটাই উপায় আর তাছাড়া আমাকে ফোন করে বলা হয়েছিল- তুমি বাসা থেকে বের হও, আব্বু-আম্মুর সঙ্গে আমার কথা বল। তুমি বের হলে আমাদের বিয়ে। ওহ আমার প্রাক্তন শ্বশুর-শাশুড়ি প্রাক্তন স্বামীর কলিগ থাকা অবস্থাতেই আমাকে অনেক আদর করতেন। বিশেষ করে আমার শ্বশুর, তাই আমার বরং ভরসাই লাগছিল। ভেবেছিলা িয়ের পরে কমাস পর বাবা-মা মেনে নেবে! তখন তো আস্তে আস্তে সব ঠিক হয়ে যাবে! যাই হোক বের হয়ে গেলাম বিয়ে হলো, সকাল সকাল ফোন দিয়ে রাজীবকে জানিয়ে দিলাম আমার বিয়ে হয়ে গিয়েছে, ও যেন আনন্দ থাকে, দুই দিনের মধ্যে সেই ডিলিট করা (আসলেতো মিথ্যা) ডকুমেন্টগুলো সে পাবলিক করে।’

Sadia Jahan Prova

প্রভা লিখেছেন, ‘আর যেহেতু ধর্মীয়ভাবে অন্যায় করেছি, সোশ্যালি কোনো অন্যায় করিনি তাই ধর্মের নিয়মে বলছি, আমার এই ঘটনার পর আমার প্রাক্তন স্বামীর উচিত ছিল আমাকে আরও বেশি সাপোর্ট করা। মারাও যেতে পারতাম। শুধু আত্মহত্যা করলে কোনোভাবেই সৃষ্টিকর্তার কাছে যেতে পারবো না, সেই ভয়ে আর আল্লাহর সাথে দেখা করার লোভে আত্মহত্যা করি নাই। তার জীবন সুন্দর য়েছে।’

তিনি েেন, ‘যাইহোক ঘটনার দিনের গল্প বলি, আমার সাথে বহুদিন ধরে ঝগড়া-বিবাদ কথা বন্ধ মান-অভিমান চলছে আমার প্রথম কথা হয়েছিল চলো বিয়েটা না করেই বিয়েটা টিকবে না, তাই বুঝতে পারত মিও বলতাম। তারপর উত্তর দেব তাকে কেউ ছাড়তে পারবে না এমনি বসে বন্ধুদের সাথে সিলেট বেড়াতে যাচ্ছিল যাবার আগে আমার একটা পুরনো ফোন সে আমার বাসা থেকে নিয়েছিল সেখানে আমার প্রাক্তন স্বামীর সাথে আমার একটা কনভারসেশন আছে।’

Sadia Jahan Prova

‘তুমি কই তোমাকে মিস করছি, মনে পড়ে তোমার কথা খুব, আমিও লিখেছি আমিও তোমাকে মিস করি, আমার তোমার কথা অনেক মনে পড়ে! আমি আমার প্রাক্তন স্বামীকে আসলে অনেক ালোবেসেছিলাম। তো এটা পড়ে রাজিব আমাকে অনেক অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে এবং বলে তার সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নাই এবং এটা ফাইনাল। ও আরেকটা কথা রাজিবের সাথে আমার সম্পর্ক থাকাকালীন অবস্থায় যতবার ঝগড়া লেগেছে ততবারই আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করত এবং আমাকে নিয়ে অনেক মিথ্যা বানিয়ে বানিয়ে বলতো এবং পরবর্তীতে আবার আমার সাথে সে ঠিক করতে চাইত, ও ক্রিমিনাল

কিন্তু আমি অনেক বড় ছাগল ছিলাম, যে একটা মানুষ যখন সম্পর্ক টিকেনা সম্পর্ক টানাপড়েন শুরু হয় তখন আমার ব্যক্তিগত চরিত্র নিয়ে বাজে কথা বলে, তাহলে সেই মানুষটার কাছে কেন বারবার আমি ছুটে যাই, ভয় ছিল বিশ্বাস করেন, ভালোবাসা অনেক আগেই মরে গিয়েছিল, ভয় ছিল ক্ষতির ভয়, যেটা সত্যিতে পরিণত হয়।’

Sadia Jahan Prova
Sadia Jahan Prova
Sadia Jahan Prova
Sadia Jahan Prova

তিনি লেখেন, ‘আপনারা দয়া করে পত্রিকার কা বি্াস করেন না। পত্রিকার লোকেদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভালো না। তাদের সঙ্গে এক জায়গায় বসলে বা খেলে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকে। তারা খুব অসুস্থ হয়ে গিয়েছে। তাদের পত্রিকা বিক্রির জন্য তারা নানান কথা বানিয়ে বানিয়ে লিখতে হয়। স্বচ্ছন্দ বোধ করছে।’

প্রভা লেখেন, ‘যাই হোক তবে আমি এতোটুকু বলতে পারি আমি কোনোদিন লিভ টুগেদারে ছিলাম না। যে বাসায় আমি থাকি মানে আমার বাবা-মায়ের বাসা, সেখানে আমাকে ুটি ব্যতীত রাত দশটা থেকে সাড়ে দশটার ধ্যে ঢুকতে হয়।

Sadia Jahan Prova

‘একটা কথা, বেঁচে যেহেতু আছি, জীবনে চলার পথে ভালোবাসা আসতে পারে। আপনাদের চোখে তো আবার আমি বাজে মেয়ে, বাজে মেয়েটা বহুবার ফিজিক্যালি অ্যাবিউজড হয়েছে। কিন্তু কিছু বলতে পারি নাই। চাইছি সম্পর্ক টিকুক। আমি আবার কিছু বললে আপনারা তো বিশ্বাস করবেন না।’

দীর্ঘ এই আলাপের শেষের দিকে Sadia Jahan Prova লিখেন, ‘আত্মহত্যা করিনি বলে আপনারা আমাকে প্রতিনিয়ত ইন্সপায়ার করেন, মেরে ফেলতে চান, না জেনে না বুঝে আমাকে বিভিন্নভাবে খারাপ মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চান।’

২০০৫ সালের দিকে একটি সাবানের বিজ্ঞাপন দিয়ে বিনোদন জগতে পা রাখেন Sadia Jahan Prova। এরপর নাটকের মাধ্যমে নিয়মিত হন ছোট পর্দায়।