ইসলামপন্থীরা যেভাবে বাংলাদেশের ওয়ান অন টেররে দিল্লির ব্রাহ্মন্যবাদী আগ্রাসন থেকে রক্ষা পেয়েছিল

ইসলামপন্থীদের নিয়ে ভারতের পরিকল্পনা

আমেরিকায় আল কায়ে-দার টুইন টাওয়ারে বোমা হামলা ও আমেরিকার সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অনন্ত যুদ্ধ উপমহাদেশের ইসলামপন্থীদের ঠেঙ্গানোর বিশাল সুযোগ এসে যায়। ভারতের এই মিশনে তারা পুরোপুরি আমেরিকার তথা পশ্চিমা শক্তির ব্যাকআপ পায়।

২০০৪ সালে ভারতের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করে।তখন ভারতীয় জাতীয় সুরক্ষা উপদেষ্টা হন এম কে নারায়নাম।

অসম্ভব ধুরন্ধর এই তামিল ব্রাহ্মন একসময় ভারতীয় জাতীয় সুরক্ষার মেরুদণ্ড ছিলেন। এম কে নারায়নম ও তৎকালীন “র” চিফ অশোক চতুর্বেদী সহ ভারতের দিল্লির সাউথ ব্লকের কিছু জৈষ্ঠ্য কর্মকর্তা একটি পরিকল্পনা তৈরি করে কিভাবে উপমহাদেশে ইসলামপন্থীদের ঠেঙ্গাবে!

সমসাময়িক সময়ে বাংলাদেশে ১/১১ ঘটে এবং আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে।ভারতীয় ব্রাহ্মন্যবাদীদের বাংলাদেশের ইসলামী রাজনৈতিক দলের মধ্যে প্রধান টার্গেট ছিল জামাতে ইসলামী ও বিএনপির কিছু ভারতবিরোধী নেতা।এর ধারাবাহিকতায় ইলিয়াস আলীকে হত্যা করা হয়।ব্রিগেডিয়ার আযমী ও হাসিনুরকে গোপন বন্দিশালায় রাখা হয়।

কিন্তু ভারতের পরিকল্পনা ছিল অন্য।ভারত চেয়েছিল জামাতকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে রেখে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে ডিসমেন্টাল করে দিতে।

এর ধারাবাহিকতায় জামাতের নেতাদের উপর ক্রেকডাউল চলে।অনেককে ফাঁসি দেওয়া হয়।কিন্তু জামাতের পুরো নেটওয়ার্ক আওয়ামী লীগ নষ্ট করতে পারে নাই একজন ভারতের রাজনৈতিক এর জন্য!

তিনি আর কেউ নন বরং পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।

জামাতের কয়েকহাজার নেতা যাদের আওয়ামী লীগ সরকার হত্যা করার নির্দেশ দিয়েছিল তারা পশ্চিমবঙ্গে পালিয়ে যা়।মমতা ব্যানার্জি তাদের আশ্রয় দেন।

এতে দিল্লির ব্রাহ্মন্যবা খুবই রাগান্বিত হয়। তৎকালীন মনমোহন সিং সরকারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন পি চিদামম্বরাম।

তখন ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা “র” এর প্রধান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদামম্বরামের নিকটে মমতা ব্যানার্জির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।

এখন আপনি বলতে পারেন এসব ইনসাইড ইনফরমেশন আমি কেমনে পাইলাম! এগুলো ইনসাইড ইনফরমেশন না।যারা এসব ব্যাপারে একটুআধটু ঘাটাঘাটি করে তারা এইটা জানে।

ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ঘনিষ্ঠ থিংক ট্যাংক DEEPSTRAT এর প্রধান ও ভারতের শীর্ষ জাতীয় সুরক্ষাবিদ সৈকত দত্তের থেকে পাওয়া তথ্য এগুলো।

সৈকত দত্ত এর বক্তব্য অনুযায়ী, “র” এর প্রধান ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদামম্বরামকে বলেন তিনি (চিদামম্বরাম) পশ্চিমবঙ্গে জামাত ও হুজি দমনে যতটা তৎপরতা চালাতে পারেন এর থেকে বেশি তিনি মানে “র” বাংলাদেশে এর চেয়ে বেশি তৎপরতা চালাতে পারে।

তৎকালীন সময়ে বাংলাদেশের আওয়ামীপন্থী শাহাবাগী বুদ্ধিজীবীরা মমতা ব্যানার্জিকে আহবান করে জামাত ও বাকি ইসলামপন্থীদের আশ্রয় না দিতে।

সমসাময়িক সময়ে ভারতীয় কৌশলগত চিন্তাবিদ, জাতীয় সুরক্ষা বিশেষজ্ঞ, গোয়েন্দা কর্মকর্তারা প্রবল চাপ তৈরি করে মমতা ব্যানার্জির উপর যেন তিনি জামাত, ুজি, জেএমবি’র নেতাদের আওয়ামী লীগ সরকারের হাতে তুলে দেন কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের আপোষহীন নেত্রী মাননীয়া মূখ্যমন্ত্রীকে টলাতে পারেনি।

আওয়ামী লীগ সরকার আসার পর থেকে ২০১৯ পর্যন্ত জামাতের জন্য কঠিন সম় িলরবতীে আওয়ামী লীগ নিজেও জামাতের প্রতি সফট হয়ে পড়ে বিভিন্ন কারনে।কিন্তু এই সময় পর্যন্ত জামাতের নেটওয়ার্ক ঠিকিয়ে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন মমতা ব্যানার্জি ও ব্রিটিশ সরকার।পশ্চিমবঙ্গে পালিয়ে যাওয়া অনেক জামাত ও শিবিরের নেতাকর্মী পরবর্তীতে মানবাধিকার লবির সহায়তায় লন্ডনে পাড়ি জমান।যদি মমতা ব্যানার্জি তাদের গ্রেফতার করে আওয়ামী লীগ সরকারের হাতে তুলে দিতেন তাহলে জামাতের জন্য গেম অভার ছিল।এছাড়া বাকি ইসলামপন্থীরা বেকায়দায় পড়ত।

তবুও ভারতের কেন্দ্রিয় সরকার উন্মাদ হয়েছিল বাংলাদেশের ইসলামপন্থীদের দমনের জন্য।আওয়ামী লীগ সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা ও আধা সামরিক বাহিনীতে কিছু কট্টর উগ্র স্যাকুলার ইসলামোফোবিক অফিসার ছিল যাদেকে ভারতের কেন্দ্রিয় সরকার একধরনের বিশেষ পাসকার্ড দিয়েছিল।এই পাসকার্ড দিয়ে তারা সীমান্তে BSF যতটুকু এলাকায় অপারেট করতে পারে তারাও পারত।তাদের মধ্যে একজন হলেন সাবেক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান।

তিনি ভারতের ঘনিষ্ঠ একজন সেনাকর্মকর্তা ও হাসিনার পতনের পর তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এই বিষয়টা চিন্তা করলে হাসি পায় ভারতের শত্রুদের দমন করে সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করল বাংলাদেশের সরকার অথচ ভারতেরই একটা রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী তাদের সবচেয়ে বড় শত্রুকে সুরক্ষা দিল!

এইটা কোন কাকতালীয় ব্যাপার না।পশ্চিমবঙ্গের মুশরিকরা কেন দিল্লির মুশরিকদের পরিকল্পনায় স্যাবোট্যাজ করল সেইটা বিষয় হইলে আপনাকে পবিত্র কোরানের সূরা আনফালের আয়াত ৬৫ তে দেখতে হবে।

ললাহ আমাদেরকে বলেছেন কাফেররা জ্ঞানহীন।তারা সংখ্যায় বেশিরহইলেও মুসলমানদের বিরুদ্ধে জিততে পারবে না।

দেশের ভেতরে ছিল তাগুত শক্তি ও দেশের চতুর্দিকে শক্তিশালী মুশরিক বাহিনী।তবুও কেন বাংলাদেশের ইসলামপন্থীরা পশ্চিমবঙ্গের মুশরিকদের থেকে সহায়তা পাওয়া গেল।পশ্চিমবঙ্গের মুশরিকরা আমাদের পছন্দ করে এইটা ভাবার কারন নাই। তারা বাংলাদেশের ইসলামপন্থীদের সহায়তা করেছে কারন সেখানকার মুসলিম ভোটব্যাংক।

আপনি পৃথিবীর পরতে পরতে পবিত্র কোরানে বলা আল্লাহ এর প্রতিটি ঈঙ্গিতের নিদর্শন পাবেন।

ভারতীয় মুশরিক ও বাংলাদেশের তাগুতরা আর আমেরিকার সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অনন্ত যুদ্ধের মত সুযোগ আর আসবে না।এখন পতনের পালা তাগুত শক্তি ও ভারতীয় মুশরিকদের।আমেরিকা এখন বাংলাদেশের পক্ষে।পাশার দান উল্টে গেছে।