আওয়ামী লীগ পিনাকী ভট্টাচার্যদের মত প্রবাসী সাংবাদিকদের কি আসলেই ভয় পায়?
বাংলাদেশের আওয়ামী লীগ সরকার আসলে, ইলিয়াস হোসেন বা পিনাকি ভট্টাচার্য কাউকে ঝুঁকি মনে করে না।
আওয়ামী লীগ ঝুঁকি মনে করে জুলকারনাইন সায়ের ও তাসনীম খলিলকে।
এদের মধ্যে তাসনীম খলিল সবচেয়ে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করে। ইলিয়াসকে বাংলাদেশের ইনটেলিজেন্স নিয়ন্ত্রন করে এবং পিনাকীকে ভারতীয় ইনটেলিজেন্স।
তারা যে কৌশল অবলম্বন করে তা হল Reflexive Control
এটি পুরাতন সোভিয়েতের ইউনিয়নের KGB এর তৈরি পদ্ধতি যা দিয়ে মানুষকে নিয়ন্ত্রন করত।
সোভিয়েত ইউনিয়নে শ্রমিকরা মাইনে বৃদ্ধির জন্য আন্দোলন করলে KGB নিয়ন্ত্রিত মিডিয়া তাদের দেখাত পূঁজিবাদী বিশ্ব শ্রমিকরা দাস কিন্তু সোভিয়েতে শ্রমিকদের রয়েছে মর্যাদা, সম্মান।
এগুলো দেখে শ্রমিকরা আবেগে আপ্লুত হয়ে আন্দোলন বর্জন করত।
পিনাকীর চালাকী
পিনাকী ভট্টাচার্য সেগুলোই বলে যা বাংলাদেশের মানুষ শুনতে চায়।তারপর এগুলোর ফাঁকে কৌশলে সে ইচ্ছেমত নেরেটিভ পুশ করে দেয়।
বাংলাদেশের সর্বশেষ ৭ জানুয়ারী নির্বাচনের পূর্বে পিনাকী বাংলাদেশের মানুষকে আশ্বাস দিয়েছে আমেরিকা আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটাবে।
এজন্য রাস্তায় নেমে অনেক মানুষ আন্দোলন করত তারাও চুপ ছিল।নির্বাচনের পর সে “ভারত বয়কট” এর ডাক দিয়ে একই সঙ্গে দুটি কাজ করেছে।
প্রথমত, বাংলাদেশের মানুষকে ঘরে বসিয়ে রাখবে যেন বিএনপির সঙ্গে মাঠে না আসে।
দ্বিতীয়ত, এবারের নির্বাচনে ভারত আওয়ামী লীগকে সাপোর্ট দিয়েছে ঠিক কিন্তু ভারতের ভেতরে এর সমালোচনা হয়েছে।
এটি ঢাকবার জন্য এই প্রপোঞ্চনা। ভারতীয় পন্য বয়কটের ডাক দিয়েছে িনাকী ভাচার্য কিন্তু ভারতীয় মিডিয়া রিপোর্ট করেছে বিএনপি বয়কটের ডাক দিয়েছে।
কিন্তু বাস্তবতা হল বিএনপি অফিশিয়ালি ভারত বয়কটের ডাক দেয় নি পিনাকী ভট্টাচার্যের বিএনপির দূরতম সম্পর্ক নেই।
কিন্তু বিএনপিকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ডিমানাইজ করা হচ্ছে যেন ভারতের আওয়ামী লীগের প্রতি রাজনৈতিক সমর্থন জাস্টিফাই করা যায়।
গোয়েন্দাদের সাথে সম্পর্ক
অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন যদি পিনাকী সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক থেকে থাকে তাহলে সে কেন ভারতীয় পন্য বয়কট করে ভারতের ক্ষতি করবে।
তাদের বলব বাংলাদেশের মানুষ ভারতের কিছু পন্য না কিনে চলতে পারবে কিছু পন্য কিনতে হবে।
এখানে এই বয়কটের ফলে ভারতের মোট ক্ষতি যদি ৫ বিলিয়ন ডলার হয় তবুও সেটা ৪ ট্রিলিয়ন ইকোনমির জন্য বড় কিছু নয়।
পিনাকী ভট্টাচার্য বাংলাদেশের মানুষকে স্বপ্ন দেখাচ্ছে বাংলাদেশের মানুষ ভারতের পন্য বয়কট করলে ভারত সরকার আওয়ামী লীগের সঙ্গে মিত্রতা ত্যাগ করবে।
এটিও একটি মেকি আশা যেমন সে বাংলাদেশের মানুষকে বলেছিল আমেরিকা আওয়ামী লীগকে হঠাবে।
ভারত সরকার আওয়ামী লীগকে সমর্থন করার মূল কারন সিকিউরিটি কনসার্ণ।
ভারত সরকার মনে করে যদি বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকে তাহলে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে তখন জামাত বাংলাদেশের এস্টাবলিশমেন্টের এক্সেস পাবে যার াংলাদেশে পাস্তানের ইনটেলিজেন্স এজেন্সির স্ট্রেটেজিক এসেট।
তাই ভারতের বাংলাদেশ নীতিতে বানিজ্যিক স্বার্থ গৌন জাতীয় সুরক্ষা মূখ্য।
ভারত বাংলাদেশে রাজনৈতিক নিরেপক্ষ তখন হবে যখন বিএনপি ভারতকে বিশ্বাস করাতে পারবে ভবিষ্যতে তারা নর্থ ইস্টের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আশ্রয় দেবে না।
সম্ভব হবে যখন খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমান নিজে ভারতীয় নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে আলোচনা করবেন।